সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শশুর বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কীটনাশক পানে আর বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শারীরিক নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর বুধবার (৫ নভেম্বর) সেলিনা মারা যায়।
সে কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি গ্রামের মো. জুয়েল গাজীর স্ত্রী। তার তিনটি সন্তান রয়েছে।
সেলিনা আক্তারের ছোট বোন সাথী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে গত মঙ্গলবার রাতে মারধর করে হাসপাতালে আনা হয়। সকালে জানতে পারি, সে মারা গেছে।দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো মো. জুয়েল গাজী।
সেলিনার বাবা বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সারলিয়া গ্রামের সেলিম শেখ বলেন, আমার মেয়েকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার আগে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। পরে শুধু মৃত্যুর খবর জানানো হয়। হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। আমার মেয়েকে রেখে সবাই চলে গেছে। এর আগেও কয়েকবার ওর ওপর নির্যাতন করা হয়। তা নিয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ করেছিলাম।
চাচাতো বোন বৃষ্টি বলেন, সেলিনা আমার চাচাতো বোন এবং আমার জা। আমরা দুই বোনের দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছি। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, শুধু হাসপাতালে এসে সব দেখি।

